Bicycle চালানো শেখা… 80-90 দশকের শৈশবের একটি আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা..!!
আমাদের সময়ে সাইকেল চালানো শেখা হতো তিনটি ধাপে,
প্রথম ধাপ – হাফ প্যাডেল
দ্বিতীয় ধাপ – মাঝের রডে বসে
তৃতীয় পর্যায় – সিটে বসে…
তখন সাইকেলের উচ্চতা ছিল 24 ইঞ্চি, যা দাঁড়ালে আমাদের কাঁধের সমান ছিল, এমন সাইকেলে সিটে বসে চালানো সম্ভব ছিল না।
“হাফ প্যাডেল” একটি শিল্প যেখানে আমরা সাইকেলের ফ্রেমে তৈরি ত্রিভুজগুলির মধ্যে প্রবেশ করতাম এবং উভয় পা দুটি প্যাডেলে রেখে রাইড করতাম।
আর আমরা যখন এভাবে সাইকেলে চালাতাম তখন বুক ফুলিয়ে হাতলের পেছন থেকে মুখ বের করে দিতাম এবং ‘ক্লিডিং ক্লিডিং’ বেল বাজাতাম যাতে লোকেরা দেখতে পায় যে ছেলেটি সাইকেল চালাচ্ছে।
আজকের প্রজন্ম এই “অ্যাডভেঞ্চার” থেকে বঞ্চিত তারা জানে না যে আট থেকে দশ বছর বয়সে 24 ইঞ্চি সাইকেল চালানো একটি “জাহাজ” ওড়ানোর মতো ছিল।
আমি জানি না আমরা কতবার আমাদের হাঁটু এবং মুখ ভেঙ্গেছি এবং আশ্চর্যজনক ব্যাপার হল সেই সময় কোন ব্যথা ছিল না, পড়ে যাওয়ার পরে আমরা আমাদের হাফপ্যান্ট মুছতে গিয়ে চারপাশে তাকিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতাম।
এখন প্রযুক্তি অনেক এগিয়েছে, শিশুরা পাঁচ বছর বয়স হওয়ার সাথে সাথে সাইকেল চালানো শুরু করে, তাও পড়ে না গিয়ে। দুই দুই ফুট সাইকেল এসেছে, বড়লোকের ছেলেমেয়েরা এখন সরাসরি গাড়ি চালায়, বাজারে ছোট বাইক পাওয়া যায়।
কিন্তু আজকের শিশুরা কখনই বুঝবে না যে সেই অল্প বয়সে বড় সাইকেলে ভারসাম্য বজায় রাখা ছিল জীবনের প্রথম পাঠ!
সেখানে “দায়িত্ব” এর প্রথম প্রথম পর্ব ছিল, যেখানে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল যে এখন ধান কোটাতে, গম পিষতে সক্ষম।
বাড়ি থেকে সাইকেলে চড়ে মিলের দিকে যাও এবং সেখান থেকে হাফ প্যাডেল করে বাড়ি ফিরে আসো।
আর বিশ্বাস করুন, এই দায়িত্ব পালনে দারুণ আনন্দ ছিল।
আর এটাও সত্যি যে আমাদের পরে ‘হাফ প্যাডেল’ ঐতিহ্য বিলুপ্ত হয়ে গেল।
আমরা শেষ প্রজন্ম যারা তিন ধাপে সাইকেল চালানো শিখেছি!
প্রথম ধাপ হাফ প্যাডেল
দ্বিতীয় পর্যায় মাঝের রডে বসে
তৃতীয় পর্যায়ের সিটে বসে।
● আমরা শেষ প্রজন্ম যারা অনেকবার মাটির ঘরে বসে পরী-রাজাদের গল্প শুনেছি, মাটিতে বসে খাবার খেয়েছি, প্লেটে চা খেয়েছি।
● আমরা শেষ প্রজন্ম যারা ছোটবেলায় এলাকার মাঠে বন্ধুদের সাথে গুলি -ডান্ডা, লুকোচুরি, খো-খো, কবাডি, কাঁচের গুলির মতো ঐতিহ্যবাহী খেলা খেলতাম।